বড্ড বেশি অগোছালো হয়ে গেছি আমি,
নিজের খবর রাখি না কতদিন।
নিজেকে আয়নায় দেখি না কত বছর যেন,
এতটুকু সাজসজ্জা যেন হয় না কোনো কারণ ছাড়া।
নিজের প্রয়োজন যেন ভুলে যাই সহজেই,
কোথায় যেন হারিয়ে গেছি মনের ভুলেই।
অনেক বছর পর মনে হলো,
এখন একটু ক্ষান্ত দেই নিজেকে।
অনেক তো হলো জীবনের নিয়ম কানুন মানা,
এখন হোক একটু করে নিজেকে সময় দেওয়ার পালা।
নিজের শখগুলো অপূরণীয় থেকে গেছে কতকাল,
আজ হাওয়া বদলের পালা হোক না হয়।
নিজেকে সময় দিতে বারান্দায় বসে এক কাপ চা হাতে
খুব প্রিয় গানটা শুনি আর গুনগুন করে গাই।
কিছু প্রিয় ফুল গাছ আছে আমার সঙ্গী সাথী হয়ে,
কেউ সুবাস দিচ্ছে, কেউ দিচ্ছে মন ভোলানো হাসি।
আজ নিজের জন্য কিছু ভালোবাসা জমা করতে
দিয়েছি নিত্যদিনের কাজে কিছু ফাঁকি।
মাঝে মাঝে খুব ক্লান্ত লাগে দিন শেষে একা-একা,
হঠাৎ করে পুরোনো বন্ধুর দরজায় দেই কড়া নাড়া।
পুরনো স্মৃতি নতুন করে বাঁধাই করে রাখতে
কেউ তো করেনি কখনো মানা।
তবে কেন আজ নিজেকে করেছি বন্দী?
চার দেয়ালের প্রাচীরে নিঃসঙ্গ করে কেন এই পথ চলা?
আজ মুক্তি দিয়েছি নিজেকে সকল বাঁধা থেকে,
কিছু সুখ আর স্বপ্ন পূরণ আমারও যে বাকি আছে।
আমি খোলা হাওয়ায় আঁচল উড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবো
সূর্যাস্তের সাথে পাখিদের ঘরে ফেরার দৃশ্য।
গোধূলির সব রঙ মাখিয়ে নিব আমার মনের মাঝে,
রাতের আঁধার যেন একা করে দিতে না পারে।
আমি জ্যোস্না রাতের সঙ্গী হব চাঁদের আলোয় ভাসবো,
জোনাকির আলোয় নতুন করে বাঁচার আশায় জাগবো।
শীতের সকালে শিশির ভেজা ঘাসের উপর
ঝরে যাওয়া শিউলি কুড়িয়ে আঁচল ভরে একটা মালা
নিজের গলায় পড়িয়ে দিব যত্ন করে ভালোবেসে।
খোঁপায় দিব হলুদ গাঁদা ফুলের মালা জড়িয়ে,
আমার পায়ে বাজবে নূপুর রিনিঝিনি তালে।
আজ নিজেকে একটু সময় দেওয়ার পালা,
ক্লান্ত মনের এখন একটু কবিতা শোনার বেলা।
একটু অবসর চাই অজস্র কাজের ফাঁকে,
নিজের জন্য সময় থাকুক সকল ব্যস্ততার মাঝে।
