সেই তো তুমি ফিরে এলে আমায় নিঃস্ব করে,
এলোমেলো জীবনের রেখা আজ প্রায় যাচ্ছে মিলিয়ে।
তোমার পথের কাঁটা হতে চাইনি,
তাই তো চলছি নীরবে, নিভৃত কেঁদে গেছি একাকী।
জীবনের অলিগলি ঘুরে আজ ক্লান্ত আমি,
তবু্ও পাইনি খুঁজে সুখের নীড়ের একান্ত সঙ্গী।
গড়েছি এক তাসেরঘর সেখানে সবাই পর,
সম্পর্কের দরপতন হয় স্বার্থে আঘাত লাগলেই।
সাগর থেকে ঢেউ আসে তীরে আছড়ে পড়ে,
গর্জন যেন তার হৃদয়ের গভীর থেকে আসা
শব্দহীনঅনুভূতির নীরব ভাষা।
নিজের ক্ষত ঢাকতে নিয়ে যায় সৈকত থেকে একমুঠো বালি,
তার রেখে যাওয়া দাগ রয়ে যায় তীরের বুকে।
একটা আঘাত ঢাকতে আর একটা ক্ষত জাগে সৈকতের বালুচরে,
বারবার ফিরে ঢেউ লুকাতে কান্নার শব্দ গর্জন করে।
জীবনে দুঃখ যেন নিয়মের তালিকায় এক অলিখিত ফর্দ,
এই পৃথিবীতে গন্তব্য খুঁজে পাই বা পাই নিয়তির সাথে হয় নিরন্তর এক অদৃশ্য যুদ্ধ।
আকাশও জানে ধূসর মেঘের দল বৃষ্টি হবে ঝরবে অচিরে,
ছোট্ট জীবন বোঝার আগেই ঝড়ে সব ভেঙে দিয়ে যায় নিঃস্ব করে।
সময়ের চাহিদায় আবারও গুছিয়ে পথে পথে হাঁটা,
জীবনের বাঁকে বাঁকে শুধু বিরতিহীন প্রতিবন্ধকতা।
Read Time:1 Minute, 42 Second