যে পথে তুমি আমি বহুবার গেছি হেঁটে
পুরনো সেই পথে,
নতুন কাউকে নিয়ে যেও না সে পথে।
তোমাকে হারিয়ে ফেলেছি সেই কবে,
স্মৃতির চাদরে জড়ানো মন
আজও কল্পনাতে ঐ পথে হেঁটে আসে।
বর্ষায় বৃষ্টি ভেজা দুপুরে
তোমার কাছে আমার ছুটে যাওয়া,
গ্রীষ্মের প্রখর রোদে ঝড় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে
আমার জন্য তোমার ব্যাকুল মনের অব্যক্ত কাব্য রচনা।
সবকিছুই আজ স্মৃতির পাতায় জীবনের অংশ হয়ে ছাপা।
তুমি চিনেছ নতুন পথের দিশা,
আমি তোমাকে সেই পথে হারিয়ে দিশাহারা।
জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে ফিরে আসি,
সঙ্গী হারা দুঃখী চিলের বেশে।
শরতের বিকালে নদীতে নৌকায় ভেসে,
আমার কপালে তোমার কাশফুলের ছোঁয়ায় আদর,
আজও অনুভব করি চোখ বন্ধ করে।
বসন্তের ভোরে একগুচ্ছ হলুদ গোলাপ হাতে
রমনার বটমূলে তোমার প্রতীক্ষিত প্রহর,
আজও আমার মনের কোণে সদ্য ফোটা পদ্মের মতো।
শীতের সকালে স্নিগ্ধ রোদের মতো উষ্ণতা অনুভব হত,
তোমার নিষ্পাপ ভালোবাসার বাহু বন্ধন।
হেমন্তে কৃষকের সোনা ঝরা ফসল ঘরে তোলার আনন্দের মতো ছিল,
তোমার হৃদয়ে আমার জন্য অজস্র নীল ভালোবাসার
জন্ম।
কোনো কারণ না বলে অকারণে ছেড়ে গেলে,
আমার যত ভালোবাসা তোমার জন্য রোপিত ছিল।
আজও কী প্রিয় মানুষটির সামনে
পদ্ম পুকুরের পাশে ঘাসে বসে গোধূলির আলো দেখো?
কখনো কী তার মুখে আমার ছায়া পড়ে, পড়ন্ত বিকেলে?
