মামাকে অনেক বলার পরও মামা কোন সময় দিলেন না আমাকে। কতবার বললাম, আমি ডিগ্রি পড়তে চাই। পড়াটা শেষ হলে আর কিছু বলবো না। মামী বললেন, ছেলেরা অনেক বড়লোক। তারাই পড়াবে বলেছে।আমার পিছনে খরচ করার মতো টাকা তাদের নেই। অথচ নানার যে সম্পত্তি মা পায়।তা দিয়ে আমি অনেক দূর যেতে পারি।কিন্তু আজ আমার পাশে কেউ নেই। কোনো আপন বা পর কেউ নেই এই পৃথিবীতে। নিজেকে আজ খুব অসহায় লাগছে।আল্লাহ এই পৃথিবী থেকে আমার সব আপন মানুষদের নিয়ে গেল।
আজ আমার বিয়ে। খুব কম মানুষ দেখলাম বিয়ের অনুষ্ঠানে। আমার স্বামীর নাম রবিন আহমেদ। এতটুকুই জানলাম শুধু। আর কিছু জানার অধিকার যেন আমার নেই। আমার উকিল হিসাবে ছিলেন রবিনের বাবার ম্যানাজার কালাম চাচা।উনি নাকি অনেক বিশ্বস্ত মানুষ রবিনদের পরিবারের। মানুষটা সত্যি অনেক ভালো।আমার সাথে সুন্দর করে কথা বললেন কালাম চাচা।আমাকে এসে এও বলে গেলেন, তোমার কোনো চিন্তা নেই মা।আমি তোমার বাবার মতো।তুমি আমার মেয়ের মতো। ওনাকে খুব সাহস করে জিজ্ঞেস করলাম আপনার পরিবারে কে কে আছে? উনি বললেন, রবিনদের পরিবার তার নিজের পরিবারের মতো।তার নিজের কোনো পরিবার নেই। আজ থেকে আমিও তার আপনজন। কেন যেন ওনাকে অনেক ভালো মানুষ মনে হলো।কিন্তু সবকিছু কেমন যেন লাগল।
আমি বিয়ে শেষে ঢাকায় এলাম।আমাকে বিদায় দিতে পেরে মামা মামী অনেক খুশি।তাদের কোনো কষ্ট হয়নি আমি চলে আসাতে।কিন্তু মিলি অনেক কেঁদেছে। বারবার বলেছে,আপু ফোন দিও।ভুলে যেও না আমাকে।বাড়ি থেকে বের হতে অনেক কষ্ট হচ্ছিল। এই বাড়িটাই তো আমার নিজের বাড়ি ছিল। আমি বড় হয়েছি এই বাড়িতে। নানা নানির সাথে অজস্র স্মৃতি আমার। স্মৃতি গুলো জমা করে মনে নিয়ে এসেছি। যদি পারতাম এই বাড়ি আমার করে রাখতাম।নানা নানি আর আমার জীবনের সময় এই বাড়ির কোণায় কোণায় কেটেছে।
এখানে এসে আমাকে রবিনের ঘরে নেওয়া হলো না।রবিনের ঘরের পাশে আমাকে থাকতে দেওয়া হলো।কিছু বলা হলো না।শুধু বলা হলো এটা তোমার ঘর।রবিন বললে ঐ ঘরে যেও বলল আমার শাশুড়ি। আমার কাছে সবকিছুই অদ্ভুত লাগছে।তবে এই সিদ্ধান্ত আমার কাছে ভালোই লাগল। আমার কিছুই ভালো লাগছে না।রাতে কাজের মেয়ে এসে খাবার দিয়ে গেল।বলল,খেয়ে নেন।প্রয়োজন হলে এখানে ফোন আছে কল দিয়েন আমি চলে আসবো।নম্বর দিয়ে গেল।খুব বড়লোক হলে হয়তো এমনই হয়।আমার খেতে ভালো লাগছিল না।তবুও একটু খেলাম। সকালে ঘুম ভাঙলো কাজের মেয়েটার ডাকে। আমাকে সকালের নাস্তা দিতে এসেছে। আমি তার নাম জিজ্ঞেস করলাম।বলল,হাবিবা।আমি নাস্তা করে নিচে গেলাম।
সমস্ত বাড়ি ঘুরে দেখলাম। অনেক বড় বাড়ি।তবে বাড়িতে কেউ নেই। রান্না ঘরে ঢুকে হাবিবাকে দেখলাম।আমাকে দেখে তাড়াতাড়ি এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো,কিছু লাগবে? আমি বললাম না।ঘরে ভালো লাগছিল না।তাই বের হয়ে এলাম।বাড়িতে কেউ নেই?হাবিবা বলল, রবিন স্যারের নানা খুব অসুস্থ। তাই সকালে বের হয়ে গেছেন।বড় স্যার (রবিনের বাবা) সকালে অফিসে চলে গেছেন। আমি রবিনের কথা জিজ্ঞেস করাতে চুপ করে থাকলো।আমি চলে আসলাম।
আজ পাঁচ দিন হয় রবিনকে বিয়ের পর আর দেখিনি। শাশুড়ি এক দিন এসে বলে গেলেন, উনি কিছু দিন বাবার সাথে হাসপাতালে থাকবেন।আমার কিছু লাগলে হাবিবা এনে দিবে।আমার কাছে সবকিছুই অস্বাভাবিক লাগছে।এটা তো কোনো স্বাভাবিক জীবন না।সবাই কেমন যেন।
মাঝরাতে আমার ঘরের দরজায় কে যেন ধাক্কা দিল।আমি খুব ভয় পেলম। ভিতর থেকে দরজা না খুলেই জিজ্ঞেস করলাম কে? বাহির থেকে বলল, আমি রবিন দরজা খুলো।আমি কী করবো ভেবে পাচ্ছি না।এতরাতে এভাবে হঠাৎ কোথায় থেকে এলো সে? তবুও দরজা খুলে দিলাম।আমি রবিনকে দেখে ভয় পেলাম।তার চেহারা কেমন যেন লাগছে। গায়ে থেকে গন্ধ বের হচ্ছিল। মাতালের মতো এসে বিছানায় বসলো।আমাকে কাছে ডাকলো।আমি ধীরে ধীরে কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই আমাকে জড়িয়ে ধরে। ভয়ে চিৎকার দিতে গেলে আমার মুখ চেপে ধরে। আমার সাথে জোড়াজুড়ি শুরু করে।আমার কাছে তার এই মাতলামো মোটেই ভালো লাগলো না।ভয় আর কষ্ট আমাকে চেপে ধরলো।তবুও নিজেকে বাঁচাতে প্রাণপণে চেষ্টা করছি। আমার শরীরকে নানাভাবে আঘাত করছে মানুষ নামের পশুটা।
এই মানুষ আমার স্বামী? আমাকে একটা মাতালের হাতে তুলে দিল মামা মামী! এত বড় ধোকা দিল আমাকে! আমি আর কিছু ভাবতে পারছিলাম না।নিজের গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে হাত পা ছুঁড়ে রবিনকে খাট থেকে ফেলে দিলাম।সে মনে হয় ভালোই আঘাত পেল।আমি এতকিছু না দেখে দৌড়ে ঘর থেকে বাহিরে চলে এলাম।ইচ্ছা হলো আমি এই বাড়ি থেকে দূরে বহুদূরে পালিয়ে যাই।কিন্তু পারলাম না।মেইন গেট বন্ধ। ভয়ে কাঁপছি থরথর করে। পিছন থেকে একজন এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলো কে তুমি? ঘুরে দেখলাম কালাম চাচা দাঁড়িয়ে আছেন।
চলবে,
minoxidil vs propecia 9 kg presumably largely differences in fat weight have been shown to be meaningful with regard to breast cancer recurrence 13
Well I truly liked reading it. This article provided by you is very helpful for accurate planning.
Thanks for any other fantastic post. The place else may just anyone get that type of information in such an ideal method of writing? I have a presentation next week, and I’m at the search for such information.
hey there and thank you on your information – I’ve certainly picked up anything new from proper here. I did alternatively expertise several technical points the usage of this site, as I experienced to reload the site a lot of occasions previous to I may just get it to load correctly. I were considering in case your web host is OK? Now not that I am complaining, however sluggish loading instances times will often have an effect on your placement in google and can damage your high-quality ranking if ads and ***********|advertising|advertising|advertising and *********** with Adwords. Well I’m including this RSS to my e-mail and can glance out for much extra of your respective interesting content. Ensure that you update this once more very soon..