আত্নার হত্যা

হত্যা
Read Time:4 Minute, 33 Second
আমি নিজের অনুভূতি থেকে এতটুকুই বলতে পারি যে কেউ যখন বলে,আমি আর পারছি না।তখন সত্যিই সে তার ধৈর্য হারায়।
তখন তাকে আগলে রাখাটা জরুরি। তার সমস্যা শোনা ও সমাধান দেওয়া প্রয়োজন হয়।তাকে বুঝতে হয়।এটা সব বয়সের জন্যই দরকার।
কতটা নিরুৎসাহিত ও নিরুপায় হলে মানুষ এ পৃথিবী ছাড়তে চায়।যেখানে প্রতিটি মানুষ বাঁচার জন্য জন্ম থেকে যুদ্ধ করে।
সবাই সব পারে না।এটা কবে বুঝবো আমরা?সবাই ভালো ছাত্র হয় না।সবাই ভালো চাকরি পায় না।সবাই ডক্টর ইন্জিনিয়ার হয় না।সবার বাড়ি গাড়ি থাকে না।সবার প্রেম স্বার্থক হয় না।সবার সংসার পরিপূর্ণ হয় না।
প্রতিটি মানুষের কোন না কোন অভাববোধ থাকে।মনে চাপা কষ্ট থাকে।তবে সবাই তা বয়ে বেড়াতে পারে না।সবাই মনকে শান্তনা দিতে জানে না।পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারে না।
তাই কেউ যখন হতাশ হয় বা কষ্ট পুষতে থাকে।তখন তার জন্য কিছু করতে পারলে প্লিজ করুন।না পারলে অন্তত শান্তনা দিন।তাকে সাহস দিন।সামনে কিভাবে বিপদ কেটে যাবে তার পরামর্শ দিন।
জীবনে,,,,
একটা হাত মাথার উপর খুব প্রয়োজন।
কষ্টে কেউ বুকে জড়িয়ে শান্তনা দিবে।
হাতে হাত নিয়ে বলবে,আমি আছি।তুমি তো একা নয়।
কেউ বলবে,আর কেউ ভালো না বাসুক।আমি অনেক ভালোবাসি।
আজ তোমার কিছু নাই,তো কি? একদিন সব হবে দেখ।
অনেক সময় আর্থিক ক্ষতি হলে।সবাই পিছনে সরে যাই।কিন্তু এসময়ে সাহায্যের একটা হাত খুব জরুরি।
কারো সংসারে অশান্তি? তাকে সুপরামর্শ দিন।
খুব ছোট একটা শান্তনা একটা জীবন বাঁচায়। তাতে একটা পরিবার বাঁচে। কাউকে হতাশায় দেখলে বা সমস্যায় দেখলে একা ছেড়ে যাবেন না।তার দুঃখের সময়ের সাথী হবেন।তাহলে আপনার দুঃসময়ে আর কেউ না থাকুক। আল্লাহ অবশ্যই থাকবেন।
বর্তমান সময়ে একাকীত্ব, হতাশা,ব্যর্থতা,আর্থিক সমস্যা, পারিবারিক কলহ সব এত বেড়ে গেছে। মানুষ বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যুকে সহজ ভাবে।
কখনো কি হিসাব কষে দেখেছেন, আপনার চলে যাওয়াতে কার ক্ষতি হবে? কার লাভ হবে?কারা একা হবে? কাদের জীবন থেমে থাকবে?
হয়তো ঐ সময়ে কেউ এসব ভাবতে পারে। তাই এ সিদ্ধান্ত নেয়।কিন্তু বন্ধু বা কাছের মানুষেরা এ কথা গুলো বুঝতে পারে। এ কথা গুলো তখন ঔষধের মতো কাজ করে।
তরুণ তরুণীরা বয়সের জন্য অনেক কিছুই বুঝতে পারে না।তাদের আগলে রাখুন।প্রয়োজনে শাসন করুন। প্রয়োজনে আদর করে বুঝাতে চেষ্টা করুন।কাউকে তিরস্কার করবেন না।কাউকে তার দূর্বলতা বা হার জিত নিয়ে ঠাট্টা করবেন না।অনেকে এসব মানতে পারে না।সমাজের খোঁচা, পরিবারের কটু কথা, জীবনের কাছে চাওয়া পাওয়ার অপূর্ণতা মানুষকে কাবু করে দেয়।
একটা কথা,মানুষের জন্য সমাজ।সমাজের জন্য মানুষ নয়।যে সমাজ মানুষকে বাঁচতে না শিখিয়ে,মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। সে সমাজ আমি মানি না। সমাজের দোহাই কাউকে দিবেন না দয়া করে।
আমার এ ছোট মস্তিষ্কে যতটুকু বুঝতে পারি।ততটুকু বললাম।জীবন এমনিতেই ছোট। এ জীবন চলে গেলে আর আসবে না।তাই যতটুকু পারি নিজের মতো করে বাঁচি। সব পরিস্থিতি মেনে নিয়ে বা যুদ্ধ করে বাঁচতে হবে।চলে গেলে সব শেষ। থাকলে অনেক কিছুই হতে পারে।
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social profiles